সাধারণ পরিচিতি:
যশোর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এটি বাংলাদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তর জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
আয়তন:
২৫৯৪.৯৫ বর্গকিলোমিটারঅবস্থান:
যশোর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।সীমানা:
উত্তরে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা, দক্ষিণে সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলা, পূর্বে নড়াইল ও খুলনা জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।জনসংখ্যা:
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী, জেলার মোট জনসংখ্যা ২৭,৬৪,৫৪৭ জন।প্রশাসনিক কাঠামো:
যশোর জেলা খুলনা বিভাগের অধীনস্থ একটি জেলা।ইতিহাস:
যশোর জেলা প্রাচীনকালে বঙ্গ জনপদের অংশ ছিল। প্রাচীনকালে যশোর সম্ভবত তাম্রলিপ্ত বা ভাংগা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হয়। যশোরের নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন কিংবদন্তি প্রচলিত আছে, তবে সাধারণভাবে মনে করা হয় এটি "যশোহর" শব্দ থেকে এসেছে, যা গৌড়ের যশ হরণ করে এই অঞ্চলের উন্নতি হওয়ার কারণে রাখা হয়েছিল। ১৭৮১ সালে ব্রিটিশরা যশোর জেলা প্রতিষ্ঠা করে।অর্থনীতি:
যশোরকে "ফুলের রাজধানী" নামেও পরিচিত, যেখানে গদখালি থেকে বাংলাদেশের প্রায় ৮০% ফুল সরবরাহ করা হয়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক দিক হলো কৃষি, বিশেষ করে খেজুরের গুড় এবং বিভিন্ন প্রকার ফল ও সবজি। যশোর স্টীচ ও নকশী কাঁথা জেলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প হিসাবে পরিচিত।অন্যান্য:
যশোর জেলার উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা হাউজ, কালেক্টরেট ভবন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর পৌরসভা ইত্যাদি। যশোর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হলো খেজুরের গুড় ও মিষ্টি। যশোরকে "প্রথম ডিজিটাল জেলা" হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।যশোর জেলা তার ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য উল্লেখযোগ্য।
0 Please Share a Your Opinion.: